পাপ # লেখক_মোঃ_আঃ_আজিজ - ডার্ক ওয়েব - হিট স্ট্রোক

হিট স্ট্রোক 

প্রচণ্ড গরমে ছটফট করছে লিমির পাঁচ মাসের মেয়ে রাইসা। সমানে দরদরিয়ে ঘাম ঝরছে মাথা আর সারা শরীর বেয়ে। সেই দুপুর থেকে একনাগাড়ে কেঁদে চলছে মেয়েটা। উপায়ান্তর না দেখে স্বামী রিফাতকে কল দিল লিমি,

- গরমে মেয়েতো থাকতে পারছে না, কেমন যেন ছটফট করছে।
- গরম কি তোমার আর তোমার মেয়ের একার লাগছে! সব জায়গায়ই গরম। ফ্যান ছেরে ফ্যানের নিচে বসে থাকো। জরুরী কাজ করছি আমি, এখন ডিস্টার্ব করোনা। 
 
কথাগুলো বলে রিফাত কেটে দেওয়ার পর, মনটা খারাপ করে ফোনটা পাশে রাখলো লিমি। "গট-গট্টর" একটা শব্দ হয়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল বাসার একমাত্র সিলিং ফ্যানটা। আবার লোডশেডিং! প্রচন্ডরকম ঘামছে রাইসা। অস্বাভাবিক রকম ভাবে চোখটা বড় বড় করে তাকিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। হঠাৎ কেমন যেন কান্নাটা বন্ধ হয়ে চোখ দুটো বড় বড় করে সারা শরীর ঝাকি দিয়ে উঠল রাইসার। লিমি ওর হাত-পা-মাথা ডলতে লাগলো, কোন কিছুতেই কিছু যেন বুঝে উঠতে পারছে না ও। হঠাৎ ভয়ানক রকম ভাবে কাপতে শুরু করলো রাইসার শরীরটা। লিমি কি করবে বুঝতে না পেরে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো রাইসাকে। জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থাতেই লিমি টের পেল, নিস্তেজ হয়ে গেছে রাইসার শরীর। 
 
ছোট্ট বুকটা একটু পর পর আর উঁচু হয়ে উঠছে না ওর নিঃশ্বাসে। বাইরে ঘন মেঘে কালো হয়ে এসেছে সমস্ত আকাশ। গুড়ু-গুড়ু ডাক দিয়ে মেঘ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল বৃষ্টির প্রথম ফোটা। গাছের ভেজা পাতার মতই লিমির অশ্রুতে ভিজে উঠেছে রাইসার প্রাণহীন মুখটা। তবে সেও আর রাইসার মুখে পড়ে থাকা অশ্রুর ফোটাটি মুছে দিতে পারল না। কিভাবে পারবে, মেয়ে হারানোর শোক সইতে না পেরে সেও যে একইসাথে চলে গেল, মেয়ের হাত ধরে। খাটের উপর এক পরম আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে বসে রইল দুইটি নিথর দেহ। 
 

#রোদ্র_প্রেমকথন
তাসমিয়া তাহমিদ ইশারা
সুচনা পর্ব।
 
সোহাগনগর এর মিয়া বাড়িতে আজ খুশির ঢল উঠেছে কারন আজ তাদের বাড়ির বড় ছেলে গ্রামে আসছে।
সকাল হতেই ছোটো চাচা আব্দুল মিয়া হাটেঁর টাটকা বড় রুই মাছ আর গ্রামের চাষিদের থেকে তরতাজা তরকারী খুজে চলেছে।
রেশমা বেগম ঘরের পালিত মুরগি জবাই করেছে। তাদের বাড়িতে আজ তাদের বড় জাঁ আসবে তার ছেলেকে নিয়ে।
রোদ, ও রোদ মা। রোদ মা কইরে.!
আরে তাড়াতাড়ি আয়, এতো বাজার সদাই কি একা হাতে আনা যায়।
আইতেছি বাপজান.!
বাপজান আমার লাইগা কি আনছো?
আরে মা, আজ তো তোর বড় মা আইবো। তাই আজ সব তোর বড় মা আর আমাগো নয়নের জন্য।
নয়নের নাম শুনতেই রোদের মাঝে লজ্জারাঙা ভাব আসলো।
গ্রামে থাকলেও সে সবসময় বড় বাড়ির মিলি আপার মোবাইলে নয়নকে রোজ একবার করে দেখে আসে, মেলা সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে নয়ন ভাই। দেখতে একদম রাজপুত্রর মতোন।
আরে তুই এখনো দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস, সব নিয়ে ভেতরে আয়। দেখো মেয়ের কান্ড বাইরে দাঁড়িয়ে কি ভাবনায় ডুকে গেলি.!
আসছি মা।
সুর্য তার সর্বোচ্চ তাপ দিয়ে যাচ্ছে, এই দিকে বড় গাড়ি প্রবেশ করলো এই অজপাড়া গায়ে।
সবাই শুধু গাড়ির দিকে তাকাচ্ছে।
যদিও এই গ্রামের বড়লোক বলতে বড় বাড়ির মিলি আপার ফুফুরাই। শুধু তারাই একমাত্র গাড়ি নিয়ে আসে।
মিয়া বাড়ির টিনের গেইটে শাড়ি পড়া এক মহিলার প্রবেশ। তা দেখেই বাড়ির বাচ্চারা তাদের খেলাধুলা শোরগোল ছেড়ে ওইদিকে ছুটে গেলো।
বড় মা এসেছে বড় মা এসেছে।
মধ্যবয়স্ক মহিলাটি হাসি দিয়ে সবাইকে নিজের হাতের ইশারায় ডাক দিলো সবাই অমনি ছুটে চলে এলো।
ভদ্র মহিলা তার ব্যাগ থেকে ১০০টাকার ২টা কচকচে নোট বের করে বাচ্চাদের হাতে দিলো আর বলল সবাই মিলে এটা দিয়ে মজা কিনে খেয়ো।
তা দেখে সবার সেই কি লাফালাফি, সব ফেলেই ভৌঁ দৌড় রহিম মিয়ার দোকানে।
টং দোকানে চা থেকে শুরু করে লজেন্স আর চপ পাওয়া যায়,সন্দেশ ও আছে।
কৈ গো বাড়িতে আছিস তোরা কেউ..!
বড় মায়ের আওয়াজ শুনেই মা কাকিরা রান্না ফেলে বাইরে ছুটে আসলো আর আমাকে উনুনের পাশে বসিয়ে গেলো।
ইশ কতো শখ ছিলো বড় মা কে দেখবো। তা না, সবাই আমায় ফেলেই চলে গেলো.!
আরে বুবু, কতোদিন পর আপনারে দেখতেছি, আমাগো রে তো আপনে ভুইলাই গেছেন।
আরে না না, তোমাদের ভুলে থাকা যায়। আমার মন টা কতোবার যে তোমাদের কাছে ছুটে আসতে চায়। কিন্তু তোমাদের নিলা সে কি আমায় আসতে দেয়।
কিন্তু এবার পণ করে এসেছি আমি এখানে থাকবো ১মাসের মতো।
বড় মায়ের কথা আমার কানে আসছে, ইশ বড় মা একমাস থাকবে তার মানে শহরের বাবু(নয়ন) ও থাকবে।
ইশ আমি যে কি ভাবিনা।
 
তোমরা সবাই এলে রোদেলা আর রিংকি, দিপাকে দেখছিনা যে।
কিরে রোদ কই তুই বড় মা এসেছে বলে কি পালিয়ে গেলি নাকি!
মা তাড়াতাড়ি এসে আমায় পাঠিয়ে দিলেন আমিও বড় মায়ের কথায় ছুটে চললাম।
তখন দেখলাম দরজায় কারোর প্রবেশ কাধে ব্যাগ, হাতেও ভারী ব্যাগ। কালো রঙের একটা শার্ট পড়া আর চোখে চাপানো চশমা যেন নিজেকে খুব ই গম্ভীর হিসেবে পরিচয় দিতে চাইছে তার বেশভুষা।
এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি ঠিক তখনি,!!
চলবে.!

============ 00 ========== 00 ============= 00 ===========

এখন যদি বলা হয় এই ডার্ক ওয়েব এর চাইতেও গভীর একটি ওয়েব রয়েছে; আর তখনই তা ব্রাউজ করা যাবে যখন;সেই ওয়েবসাইট এর এড্রেস আপনার কাছে থাকবে আরও থাকতে হবে সেই ওয়েবসাইটে ঢোকার চাবি। মারিয়ানা'স ওয়েব এতই গভীর যে এখানে ঢোকা সহজ কোন ব্যাপার নয়; খুবই কঠিন একটি প্রক্রিয়া। যেকেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারবে না এই ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে।
 
এই মারিয়ানা নামটি এসেছে মানিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে। এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ হল প্রশান্ত মহাসাগর এর সবচেয়ে গভীর তম স্হান [গভীরতা প্রায় ১১ কি.মি]। এটি সমুদ্রের এমন একটি স্হান যা পুরো পৃথিবীর সবচাইতে গভীরতম স্হান। এই নাম থেকেই এর নাম হয়েছে মারিয়ানা'স ওয়েব।
 
এটা মানা হয় যে; সরকার এর যতসব টপ সিক্রেট তথ্যগুলো আছে তা এখানে পাওয়া যায়। দুনিয়ায় সবচেয়ে রহস্যময় আর গোপনীয় জিনিস যদি থাকে সেসব এখানে দেখা যায়। আরও বলা হয় যে; "এটলান্টিস" সমুদ্রের নিচে এক কাল্পনিক দ্বীপ যেটি আছে; তার তথ্যও এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে।আরও বলা হয় যে; ইলুমিনাটি বা ইলুমিনাটিদের লোকদের [শয়তানের পূজারী]সাথে যোগাযোগ; এর ব্যবস্হা এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে। তাই এই মারিয়ানা'স ওয়েব হল ইন্টারনেটের সবচেয়ে রহস্যময় ও গোপনীয় জায়গা। এর চাইতে রহস্যময় ও গোপনীয় ওয়েব আর নেই।
 
তো গর্ভমেন্ট কী জন্য এটার বিরুদ্ধে কিছু করছে না? কেন এটাকে প্রকাশ করা হচ্ছে না? এখানে গর্ভমেন্ট এই জন্য এটি করেনা কেননা;অনেক দেশের সিক্রেট অনেক তথ্য এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে;এমনকি তাদেরও থাকতে পারে। মারিয়ানা'স ওয়েবে Human Experiments ও হয়ে থাকে; এবং তার ডাটাবেসও সেভ করা হয় এখানে।
 
চলুন জেনে নেই একটি বাস্তব ঘটনা মারিয়ানা ওয়েবসাইট নিয়ে
কয়েক বছর আগের কথা; একজন ওয়েব ডেভেলপার ছিল যে ফ্রিল্যান্স কাজ করত। অর্থাৎ তাকে কেউ টাকা দিত সে তার বিনিময়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিত। এভাবে ওই ব্যক্তিকে একজন unknown লোক যার নাম 450w[হয়ত তার কোডনাম] ছিল; reddit নামের ইন্টারনেট ফোরামে ভাড়া করল। ওয়েব ডেভেলপার জানত না যে এই লোকটি কে। কিন্তু সেই unknown লোকটি তাকে অনেক বেশী প্রাইজ অফার করল;খুবই সাধারন একটা কাজ করার জন্য।
 
সে বলেছিল আমি আপনার থেকে নরমাল ওয়েবসাইট আমার সার্ভারে ডিজাইন করে নিব; এর বিনিময়ে আপনাকে সপ্তাহে ৫০ হাজার ডলার দেব। তখন ওই ওয়েব ডেভেলপার এর মনে হল কোন স্ক্যাম বা এইরকম কিছু হবে হয়তবা;কিন্তু তার টাকার দরকার ছিলো তাই সে অর্ডারটি নিয়ে নিল। তারপর সেই ওয়েব ডেভেলপার দিয়ে পার্সোনল প্রাইভেট কোন সার্ভারে কাজ করানো হল;সাধারন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করানো হল। শুধু ডিজাইন করিয়ে নেয়া হল কোনো কনটেন্ট দেয়া হল না। এভাবে কাজ চলতে থাকল, ৯ সপ্তাহ সেই ডেভেলপার কাজ করেছিল।
 
একসময় তার মনে ইচ্ছা জাগল যে সে কোন সার্ভারে কাজ করছে। তার কাছে ওই সার্ভার এর নির্দিষ্ট এলাকার এক্সেস ছিল তাই সে বুঝতে পারছিলো না কিছু। তবে সে কিছু ফাইল ডাউনলোড করল ওই সার্ভার থেকে; কিছু ভিডিও ক্লিপ।
 
একটি ক্লিপে কিছু বাইনারি কোড নির্দেশ করছিলো, ডিকোড করার পর তা দাঁড়ায় “একবার আপনি এখানে ঢুকলে আর বের হওয়ার রাস্তা নেই, ঢুকার চেষ্টা করবেন না, এখানেই থেমে যান”
ধারনা করতে পাচ্ছেন মারিয়ানা'স ওয়েব কেমন এবং; ভয়ংকর একটি জায়গা তার বলতে আর কোন সন্দেহ থাকে না।এখানে সাধারন কোন এথিক্যাল বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের কোন স্হান নেই। একজন সাধারন মানুষের মারিয়ানা'স ওয়েবে বেশি ঘাটাঘাটি বা ঢোকার চেষ্টা না করা; এসবের ভেতর না যাওয়াই ভালো।
 
আর এখানে আপনার কাজের কোনো কিছু ও নেই। আর এসবই মূল কারন কেউ মারিয়ানা'স ওয়েব প্রকাশ এর জন্য কোন অভিযান করে না। গর্ভনমেন্ট কোন পদক্ষেপ নেয়না; আগেই বলেছি তাদেরও অনেক গোপন তথ্য এখানে বিদ্যমান। বড় থেকে বড় হ্যাকারও এই মারিয়ানা'স ওয়েব নিয়ে কিছু করার আগে অনেকবার ভাববে। এটি ইন্টারনেটের একটি কোনা যেখানে বিনা ঠিকানা, বিনা চাবিতে ঢোকা বলতে অসম্ভব এটি বিষয়।
 
এটাও মানা হয় যে, মারিয়ানা'স ওয়েবে ঢুকতে তা দখল করতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারস এর প্রয়োজন হবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটারও বলা যেতে পারে; এদের প্রোসেসিং স্পীড আমাদের সাধারন কম্পিউটার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশী হবে। [মানা হয় মাত্র ৪টি কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়ে সম্পূর্ণ আমেরিকার কম্পিউটারের ঘাটতি পূরন করা সম্ভব!]
আপনি যদি একজন সার্বক্ষণিক গৃহিণী স্ত্রী চান তাহলে আপনার উচিৎ না বুয়েট কুয়েট মেডিক্যাল বা স্বনামধন্য কোন ভার্সিটি পড়ুয়া এক জন ছাত্রীকে কিংবা এসব জায়গা থেকে গ্রাজুয়েট ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো। কারণ প্রতিনিয়ত পড়াশোনা-প্রজেক্ট-ইন্টার্নীর চাপে সাংসারিক অনেক জ্ঞান ই তাদের না থাকাই স্বাভাবিক।এতে দোষের কিছু দেখিনা।
 
হ্যাঁ আপনি চাইতেই পারেন আপনি যখন ঘরে ফিরবেন আপনার স্ত্রী সেজেগুজে মোমবাতি জ্বালিয়ে পঞ্চ ব্যঞ্জন সাজিয়ে আপনার অপেক্ষায় থাকবে। অনেক মেয়ের ই প্যাশন থাকে ঘরকন্না করা। স্বামী-সন্তান-শ্বশুড় বাড়ি নিয়ে জগত সাজানো।এতেও লজ্জার বা তুচ্ছ করার কিছু দেখিনা আমি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,ইকোনোমিস্ট,ফার্মাসিস্ট ইত্যাদি হবার চেয়ে পার্ফেক্ট গৃহীনী হওয়া কম কস্টের বা কম সাধনার নয়। 
 
কিন্তু আপনি যখন একজন ইঞ্জিনিয়ারকে বা একজন আর্কিটেক্টকে বা একজন আর্মি অফিসারকে বা একজন ডাক্তারকে বা ভার্সিটির অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া একটা মেয়েকে কিংবা ভবিষ্যতে নিজের একটা পরিচয় হোক তা চায় এমন কোন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান তাহলে মেনে নিতে হবে যে সে রোজ আপনার অপেক্ষায় থাকবে না। থাকলেও নিজের সুবিধা মত থাকবে । আপনি নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য যা যা করেছেন,সে ও করেছে।তাহলে দিন শেষে সে একা কেন সংসার সামলাবে?
আপনি যদি ভাবেন যে এতে সংসার ছারখার হয়ে যাবে তো আপনার উচিত এমন কাউকে বিয়ে করা যার ভবিষ্যতের চিন্তা সংসার কেন্দ্রিক। অফিসের ফাইল সামলানো বা নতুন প্রজেক্ট এর এসাইনমেন্ট নেবার চেয়ে যে রান্না করতে বা ঘর সাজাতে বেশি ভালবাসে।
 
হতে পারে আপনি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার।আপনি প্রতিষ্ঠিত বলেই জীবনসঙ্গিনী উচ্চশিক্ষিত হোক তাই চান। কিন্তু কেন?
শুনতে ভালো শোনাবে তাই?লোকের কাছে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করেছি?
নাকি পারস্পরিক বোঝাপড়ায় দু'জন মিলে সামনে এগুবেন তাই?
যদি শুনতে ভালো শোনাবে বলে হয় তাহলে আপনার উচিত না একজন বাবা, একজন মা, একটি পরিবার ও অনেক শিক্ষকের স্বপ্নকে আপনার ইগোর কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য করা।
আপনার কোন অধিকার নেই চার বছর ধরে যে মেয়েটা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা বড় কর্মকর্তা হবার আশা নিয়ে দিনের পর দিন কস্ট করে গেছে, তিন কবুলের জোরে তার সেই স্বপ্ন গুলোকে চার দেয়ালে বন্দী করে দেবার।
আপনার যেমন চাই তেমন খুঁজুন।
স্টেথোস্কোপের দোকানে গিয়ে কোরিয়ান রামেনের প্যাকেট চাইলে তো হবে না।
 
==== 00 ===== 000 ======
 
২০১৩ আমি প্রথম ফেসবুক আইডি খুলি নিজের নামে।
মাত্র ক্লাস টেনে পড়ি। পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু একটা করার চিন্তা ছিলো তখন থেকেই।
২০১৪ সালের প্রথম দিকে হুট করেই একটা ফেকাইডি খুলি ( নুসরাত জাহান নিলীমা) নাম দিয়ে। প্রোফাইলে ছবি দিয়েছি ওইসময় ফেকাইডিগুলোতে যেসব ছবি থাকতো এমন একটা ছবি। 
 
তখন ফেসবুকে নাম্বার হাইড করার অপশন জানতাম না। আইডি খুলার দুইদিন পর থেকেই দেখি আমার ফোনে শুধু কল আসে। নুসরাতকে খুঁজে।
আমি বিরক্ত হয়ে দুইদিন ফোন থেকে সিম খুলে রাখি।
বয়স কম হ‌ওয়ায় আমার কন্ঠস্বর চিকন ছিলো তখন, চাইলেই মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতে পারতাম। হঠাৎ আমার মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি আসলো।
আমি ফোনে আবার সিম এক্টিভ করলাম। ফেসবুক খুলে দেখি আইডিতে অসংখ্য মেসেজ।
আমার শয়তানি বুদ্ধিটা কাজে লাগাতে এক মুহূর্ত দেরি করিনাই। রাত জেগে চ্যাটিং, আর ফোনে ফ্ল্যাক্সি নেয়াই ছিলো প্রথম কাজ। কেউ কথা বলতে চাইলে মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতাম। হা লারপুতেরা ধরতেও পারতো না‌
এইভাবে এক এক করে ৪২ টা প্রেমিক হয় আমার ফেসবুকে, এদের থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বিকাশে টাকা নিতাম। 
 
কিছুদিন পরেই দেখি আমার বিকাশে প্রায় ৪৫ হাজারের মতো টাকা।
কোনপ্রকার রিস্ক না নিয়ে সিমটা ফেলে দেই, আইডিটা ডিলিট করে দেই।
তারপর টাকাগুলো দিয়ে নতুন একটা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করি।
অতঃপর আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি মোটামুটি সচ্ছল। ব্যংক ব্যালেন্স আছে ১২-১৩ লাখের মতো। প্রতি মাসেই ৪৫-৫০ হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে।
আমি জানতে চাচ্ছি এই ইনকামটা কি হালাল হবে?
সামনে বিয়ে করবো ভাবতেছি, আমি চাইনা হারাম ইনকাম বৌয়ের পেটে যাক।
তাছাড়া এলাকায় আমার একটা ভালো সুনাম আছে। 
 
©বাণিতে এক আপু + ভাইয়া
======== 00 ======= 00 =========== 00 ======== 
 
#পাপ
#পর্ব_২
#লেখক_মোঃ_আঃ_আজিজ
.
আমার বউ নিশি পাজামা টা উলটো করে পরে আছে। ওর অফিসে যাবার আগে সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু যখন বাড়িতে আসলো তখন তার সব কিছু উলটো। আমি যেনো কিছুই ভাবতে পারছি না। তবে কি আমি সকালে রুপার সাথে যা জোর করে এসেছি তা নিশি সেচ্ছায় করে আসলো। কারন নিশি কে এমন খুশি হওয়া এর আগে কখনো আমি দেখি নাই। আমার বুকের ভেতর যেন এক অদ্ভুত কম্পন শুরু হয়ে গেলো। আর আমি এই এসি রুমের মধ্যেও ঘামতে শুরু করলাম। আমার এমন ঘামতে থাকা দেখে নিশি বললো,,,,,,,,
নিশি-- কি হলো তুমি ঘামছো কেনো এত। অসুখ বিসুখ বাধালে নাকি। ( বলেই আমার কপালে হাত দিলো) 
 
আমার জবান যেনো বন্ধ হয়ে গেছে কি বলবো কিছুই ভাবতে পারতেছি না। আমার স্তব্ধ হয়ে যাওয়া দেখে নিশি আবারও বললো,,
নিশি-- কি হলো তুমি কথা বলছো না কেনো? কিছুক্ষণ আগোও তো হাসিখুশি ছিলে,,,,, কি এমন হলো যে নিমিষেই মুখটা মলিন হয়ে গেলো তোমার?(বলেই আবার আমার কপালে হাত দিলো। আমি নিশির হাত টা এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে বললাম)
আমি-- কিছু হয় নাই আমার। 
 
বলেই শোবার রুমে চলে আসলাম। কিছুই মাথায় আসছে না কি করবো আমি। নিশির সাথে আমার প্রেম করে বিয়ে হয়েছে। মেয়েটা আমাকে ছাড়া যেনো কিছুই বোঝেনা। তাহলে কেনো আমার সাথে এমন করলো? নাকি আমি রুপার সাথে যা জোর করে করেছি তা নিশির সাথেও করা হয়েছে। আমি রুপার সাথে যা করেছি তা তো পাপ, আমি পাপী
নাহ এটা আমার পাপের ফল। আমি পাপ করেছি। আমি পাপী,,,,, আর এটা আমার পাপ এর ফল। 
 
হে আল্লাহ তুমি বলে দাও আমি এখন কি করবো। আমি বুঝতে পেরেছি পাপ করলে সে পাপের ফল তাকে ভোগ করতেই হয়।
রাত ১২টা চোখে ঘুম নেই এখনো কিছু খাওয়াই হয় নাই। নিশি অবশ্য খাবার জন্য অনেক বার ডেকে গেছে কিন্তু আমি খাইতে যাই নাই। নিশি আমার পাসেই শুয়ে আছে। মেয়েটাকে দেখতে একদম নিস্পাপ বাচ্চার মতো লাগছে। নিশির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি সে খেয়ালই নেই। 
 
ঘুম ভাঙলো ফজরের আজান এর শব্দ শুনে। এর আগে কখনো ফজর এর সময় উঠি নাই। এর আগে নিশি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য প্রায় দিন ডেকেছে কিন্তু আমি তখন ঘুমের দেশে ব্যস্ত ছিলাম। আজ কেনো জানি না ঘুম ভেঙে গেলো। হে আল্লাহ আমি জানি আমি যে পাপ করেছি তার কোনো ক্ষমা নেই। তবু আজ কেনো জানি তোমার সেজদায় পরে কাঁদতে মন চাচ্ছে।
ওজু করে এসে বাড়িতে সুন্নাত নামাজ পরে ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে চলে গেলাম। নামাজ পরে এসে দেখি নিশি কুরআন পরছে। আমার এখন বিশ্বাসই হচ্ছে না নিশি এমন টা করতে পারে। তবে কি আমার ভাবনা টা ভুল?
**দুপুর ১২ টা**
 
বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম,,,, উদ্দেশ্য রুপার বাড়ি। আমি পাপ করেছি আমার এই পাপের ক্ষমা আছে কি না আমি জানি না। কিন্তু আমার রুপার কাছে ক্ষমা চাইতেই হবে। নইলে যে আমি মরলেও শান্তি পাবো না। ভাবতে ভাবতে রুপার বাড়ির সামনে চলে আসলাম। কলিং বেল দিতেই রুপা এসে দরজা টা খুলে দিলো। আমাকে দেখেই,,,,,,,,,
রুপা-- একি আপনি,,,? আপনি কেনো এখানে আবার এসেছেন। নাকি আবার আমাকে ভোগ করার আপনার শখ জাগছে? আমার সব তো কেরেই নিলেন তবে আবার কেনো এসেছেন? ( বলেই রুপা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো) 
 
আর আমি ফ্লোরে বসে পরে রুপার পা দুটি জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে,,,,,
আমি-- রুপা আমি পাপী,,, আমি তোমার সাথে অনেক বড় পাপ করেছি। রুপা তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও। আমি এই পাপ যে আর বয়ে বেরাতে পারছি না রুপা। তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও রুপা আমায় ক্ষমা করে দাও। 
 
রুপা-- ক্ষমা কিসের ক্ষমা? আপনাকে আমি কি ভাবে ক্ষমা করবো বলতে পারবেন? আপনি কি আমার হারিয়ে যাওয়া সতিত্ব ফিরিয়ে এনে দিতে পারবে? আপনাকে কি ভাবে ক্ষমা করবো? যে লোক নিজের একটু পুরুষত্বের সুখ এর জন্য একটা পরিবার ভেঙে দিতেও পারে তাকে কি ভাবে ক্ষমা করবো বলতে পারবেন! পারবেন না। তাহলে কি ভাবে আমি আপনাকে ক্ষমা করবো বলুন? আমার স্বামীর বিপদের সময় যখন আমি আপনার কাছে সাহায্য চাইতে গেলাম তার বিনিময়ে আপনি আমার সতিত্ব টাই কেরে নিলেন। 
 
আমি এখন কি নিয়ে আমার স্বামীর কাছে যাবো? বলুন জবাব দিন,,, জবাব দিন। জানি আপনার কাছে কোনো জবাব নেই। আমি আপনাকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবো না। আমার আল্লাহও আপনাকে কখনো ক্ষমা করবে না। এর ফল আপনি পাবেন আজ না হয় হাসর এর ময়দানে ঠিক পাবেন। 
 
আমি-- রুপা আমি জানি আমার এই পাপ এর কোনো ক্ষমা নেই। আর আমার এই পাপ এর সর্বোচ্চ শাস্তি কি তাও আমি জানি। এই পাপ এর সর্বোচ্চ শাস্তি গলা অব্দি মাটির সাথে গেরে পাথর নিক্ষেপ করা যতক্ষণ না সেই পাপী মারা যায় ততক্ষণ। কিন্তু আমার তখন কি হয়েছিল আমি নিজেও বলতে পারবো না। রুপা আমি জানি তুমি আমায় কখনো ক্ষমা করতে পারবে না। কারন আমি যে ক্ষমার জগ্য নই তারপরেও তোমার এই বিপদের দিনে আমাকে তোমার পাসে থাকতে দিয়ো।
রুপা-- কি করতে চান আপনি? 
 
আমি-- এই নাও এখানে ৪লাখ টাকা আছে। এই টাকাটা দিয়ে তুমি তোমার স্বামীর চিকিৎসা টা করে নিয়ো। প্লিজ না করবে না,,, আমি জানি তোমার এখন টাকা টার খুবই দরকার। আর আমি এ-ও জানি আমি যে পাপ করেছি এর কোনো ক্ষমা নেই। আর আমিতো আত্মহত্যাও করতে পারবো না। কারন আত্মহত্যা মহা পাপ। এমনি একটা পাপ করেছি আর একটা পাপ করে আমার পাপের বোঝা টা আর বাড়াতে চাই না। আমি এখন আসি রুপা আরো টাকার দরকার হলে আমাকে বলবে। 
 
বলেই ওখান থেকে চলে আসলাম। জোহরের আজান হয়ে গেছে তাই মাসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য আসলাম। নামাজ পড়ে মোনাজাত এ আল্লাহ এর কাছে অনেক্ক্ষণ কাঁদলাম কারন আমি যে পাপী। হে আল্লাহ আমিতো অবুঝ ছিলাম তাই কিছু বুঝতে পারি নাই। আর যখন বুঝতে পারলাম তার আগেই আমি এক মহা পাপী হয়ে গেলাম।
 
নামাজ পরে বের হয়ে বুঝতে পারলাম আমার অনেক খুদা পেয়েছে। কারন সেই কাল রাত থেকে এখনো কিছু পেটের মধ্যে যায় নাই। তাই একটা হোটেল দিকে গেলাম। হোটেল এর সামনে যেতেই চোখ পড়লো ভিতরের একাটা টেবিলের দিকে। 
 
আমার বউ নিশি একটা ছেলের সাথে এক টেবিলে বসে আছে। ছেলেটার মুখ দেখা যাচ্ছে না কারন সে অন্য পাশ হয়ে বসে আছে। কিন্তু নিশির মুখটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। তবে কি এই সেই লোক যার কারনে কাল নিশি এমন ভাবে বাসায় আসলো,,,,,,,,,,,,,,,,,?
আমার আর খাওয়া হলো না। বাসায় চলে আসলাম। নাহ আমার আর বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আর কেনোই বা বেচে থাকবো? যে নিজেই একটা লম্পট চরিত্রহীন। আবার তার বউ? সেও অন্য পুরুষ এর সাথে,,,,,৷? 
 
এই পৃথিবীতে আমার জায়গা নেই। যা করার আজ রাতের মধ্যেই করতে হবে। কিন্তু বাড়িতে কিছুই করা যাবে না যা করার বাড়ির বাহিরে করতে হবে।
*রাত ৪টা নিশি এখনো ঘুমিয়ে আছে। ঘুমের মধ্যে যে এই মেয়েটাকে কতটা আরো বেশি সুন্দর লাগে তা বলে বুঝাতে পারবো না। মন ভোরে মেয়েটাকে দেখে নিলাম। কারন এর পর আর কখনো এই মেয়ে টাকে দেখা হবে না। 
 
যাবার আগে টেবিলের উপর একটা চিঠি লিখলাম। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম। উদ্দেশ্য ট্রেন স্টেশন,,,,,,, সকাল ৫টায় ট্রেন আসে আর তার নিচেই ঝাপ দিয়ে চলে যাবো না ফেরার দেশে। স্টেশনে এসে বসে আছি।
ভোর ৫ টা,,,,,, ওইতো ট্রেন আসছে। আমিও তইরি ঝাপ দেবার জন্য। যেই লাফ দিবো অমনি অতীত এর কথা গুলো মনে পরে গেলো। কিন্তু আমি পিছপা হইলাম না আমি পাপ করেছি পাপের শাস্তি তো পেতেই হবে। 
 
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,?
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url