৩ টি ছোট গল্প - ভালো লাগবে | Three Short Story - Hubu Sosur | হবু শশুর ৩ টি ছোট গল্প


আজকের ঘটনা ...
 
মা আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছেন। মেয়ে শিক্ষিত হওয়া চলবে না কারণ শিক্ষিত মেয়েদের পেটে অনেক প্যাচ থাকে যার ফলে সংসারে অশান্তি হয়। তাই মেয়ে এসএসসি ফেল হলেও চলবে কিন্তু ইন্টার পাশ হওয়া চলবে না। 
 
বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলে চলবে না কারণ বড় লোকের মেয়েরা সংসারের কোন কাজকর্ম করে না। তাছাড়া বিয়ের পর এইসব বড়লোকের মেয়েরা শ্বাশুড়ির কাঁধে পা তুলে খায় তাই মেয়ে হতে হবে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। 
 
মেয়ে খুব বেশি সুন্দরী হওয়া চলবে না কারণ সুন্দরী মেয়েরা স্বামীকে রূপের জাদুতে বশ করে ফেলে। যার ফলে ছেলে শুধু বউয়ের কথায় উঠে-বসে আর মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।
এইসব থিওরি মা আমাকে ২ঘন্টা ধরে বুঝালেন। মা'র এইসব কথা শুনে প্রচন্ডরকম মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। আমি নিজের মাথার চুল নিজে টানতে টানতে বললাম,
--মা, তুমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে বলবে আমি চোখ বন্ধ করে সেই মেয়েকেই বিয়ে করবো। এখন মা আমি ঘুমাতে গেলাম সকালে আমার অফিস আছে
মা মুচিকে হেসে আমায় বললো,
-আচ্ছা যা তাহলে
 
ঘুমে যখন চোখটা লেগে আসছে তখনি আমার ফোনের স্কিনের আলোটা জ্বলে উঠলো। ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি রফিক ভাইয়ের নাম ভাসছে। আমি ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলতে লাগলাম...
|
|
পরদিন সকালে আমি একমনে খবরের কাগজ পড়ছি আর নাস্তা করছি। হঠাৎ আমি একটা খবর দেখে চিৎকার করে বললাম, সর্বনাশ!
আমার চিৎকার শুনে মা রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে বললো,
- কি হয়েছে?
আমি মাকে বললাম,
-- পুত্রবধূর ভুল-বাল ঔষধ খাওয়ানোর ফলে শ্বাশুড়ির মৃত্যু
মা পাশের চেয়ারে বসতে বসতে অবাক হয়ে বললো,
- মানে!
 
আমি তখন নিউজটা পড়তে শুরু করলাম,
-- সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার উজানী নগর গ্রামের সালমা বেগম তার একমাত্র ছেলেকে পাশের গ্রামের হাসেম বেপারির মেজো কন্যার সাথে বিয়ে করান। গতকাল দুপুরে সালমা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে ছেলের বউ উনাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতালে চিকিৎসারত ডাক্তার কিছু ঔষধ দিয়ে সালমার পুত্রবধূকে বললেন, সঠিক ভাবে নিয়মিত ঔষধ গুলো খাওয়াতে। পুত্রবধূ কম শিক্ষিত থাকার কারণে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের লেখা বুঝতে না পেরে শ্বাশুড়িকে ভূল-বাল ঔষধ খাওয়ান। যার ফলে শ্বাশুড়ির মৃত্যু হয়
মা অবাক হয়ে বললো,
- ছেলে কোথায় ছিলো?
আমি তখন বললাম,
 
-- হয়তো বাহিরে ছিলো। পুরুষ মানুষতো আর সারাক্ষণ বাসায় থাকে না
আমার কথা শুনে মা কপালে হাত দিয়ে কি যেন ভাবতে লাগলেন। আমি তখন বললাম,
-- মা আমি আসি। আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর পত্রিকাটা নিয়ে যায়। আমার অফিসের কলিগ রফিক ভাইকে খবরটা দেখাতে হবে...
(রিপন আহমদ )
সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছি। এমন সময় মা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
- মেয়ে শিক্ষিত হলে সমস্যা নেই। সব শিক্ষিত মেয়েতো আর খারাপ না। তাছাড়া মা শিক্ষিত নাহলে ছেলে মেয়ে মানুষ করতে পারবে না। আমি তোর জন্য শিক্ষিত নিন্ম-মধ্যবিত্ত শ্যামলা একটা মেয়ে খুঁজে বের করবো।
 
আমি মুচকি হেসে বললাম,
-- ঠিক আছে মা। আমি তোমার পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করবো
তখন তখন বিড়বিড় করে বললো,
- মেয়ে ইংলিশে অনার্স করলে ভালো হয়। তাহলে ডাক্তারের লেখা সহজে বুঝতে পারবে
আমি তখন বললাম,
-- বিড়বিড় করে কি বলছো মা?
মা উম আমি বললাম ,
- না কিছু না..
|
|
পরদিন সকালে নাস্তা করার সময় পত্রিকা দেখে আবার চিৎকার করে বললাম,
-- সর্বনাশ!
হাত থেকে চায়ের কাপটা ফেলে দিয়ে মা বললো,
- কি হয়ছে?
আমি বললাম,
-- টাকার অভাবে মার চোখের সামনে একমাত্র ছেলের মৃত্যু
মা অবাক হয়ে বললো
- মানে!
 
আমি পত্রিকা পড়া শুরু করলাম,
-- ময়মনসিংহ সদরের বাসিন্দা রোকসানা আক্তার স্বামী মারা যাবার পর ব্যাংকের সমস্ত টাকা খরচ করে ছেলেকে মানুষ করেন। ছেলে চাকরি পাবার কয়েকমাস পর একটা নিম্ন পরিবারে ছেলেকে বিয়ে করান। বিয়ের কিছুদিন পর রোকসানা আক্তার জানতে পারেন ছেলের ব্রেইন টিউমার হয়েছে। আর চিৎকার জন্য ১৪লাখ টাকা লাগবে। রোকসানা আক্তারের কাছে শুধু ২ লাখ টাকা ছিলো। আর ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোক গরীব ছিলো তাই মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিতে পেরেছিলো। সময় মত রোকসানা আক্তার টাকা জোগাড় করতে না পারায় চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু হলো
মা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আর আমি ঠান্ডা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললাম,
-- মা আমি আসি। অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর খবরের কাগজটা নিয়ে গেলাম। রফিক ভাইকে এই সাংঘাতিক খবরটা দেখাতে হবে...
(রিপন আহমদ)
 
রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছি। এমন সময় মা পাশে বসে বললো,
-তোকে আমি উচ্চ বংশীয় পরিবারে বিয়ে করাবো। আমার একমাত্র ছেলেকে কোনো ফকিন্নি পরিবারে বিয়ে করাতে পারবো না
আমি অবাক হয়ে মাকে বললাম,
-- তুমি না বললে বড়লোকের মেয়েরা কোনো কাজ করে না তাছাড়া কোনো রান্না-বান্নাও পারে না
মা কিছুটা রেগে বললো,
- কাজ না করলে কাজের মেয়ে কাজ করবে আর রান্না না পারলে আমি শিখিয়ে দিবো
তারপর মা বিড়বিড় করে বললো,
- কোন বিপদ আপন হলে হাতের তুড়িতে যেন ১০-১২ লাখ টাকা দিতে পারে এমন পরিবারে তোকে বিয়ে করাবো
 
আমি মার কাঁধে হাত দিয়ে বললাম,
-- বিড়বিড় করে কি বলছো মা?
আমি কিছু না বলে আনমনে চুপচাপ চলে গেলো...
|
|
পরদিন সকালে আবার খবরে কাগজ দেখে চিৎকার করে উঠলাম। মা চমকে গিয়ে পাশে থাকা গ্লাসের সবটুকু পানি খেয়ে আমায় বললো,
- আজকের খবরে আবার কি লিখেছে?
আমি নিউজটা একদমে পড়তে লাগলাম,
-- ঢাকার উত্তরাতে বসবাস করা শাহানাজ পারভিন তার একমাত্র ছেলেকে বিয়ে করান অসুন্দরী এক মেয়েকে। বিয়ের পর থেকেই ছেলে তার বউকে সহ্য করতে পারতো না। আস্তে আস্তে সেই ছেলে পাশের ফ্ল্যাটের সুন্দরী ভাবী নাবিলার সাথে পরকীয়া শুরু করে দেয়। পরে যখন বিষয়টা নাবিলার স্বামী রাশেদ জানতে পারে তখন রাশেদ নাবিলা আর শাহানাজ পারভিনের ছেলে রায়হানকে জবাই করে মেরে ফেলে
(রিপন আহমদ)
 
এমন সময় মা আমার হাত ধরে বললো,
- থাক বাবা, আর পড়তে হবে না। তোকে আমি পাশের ফ্ল্যাটের সজিবের বউয়ের চেয়েও সুন্দরী মেয়ের সাথে বিয়ে করাবো
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-- কিন্তু মা!
 
মা রাগী চোখে বললো,
- কোন কিন্তু না। আমি এমন একটা বউ চাই যার রূপের আলোতে আমার ঘর আলো হয়ে থাকবে
আমি পত্রিকাটা ব্যাগে ঢুকিয়ে মাকে বললাম,
-- মা আমি যায়। আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটা রফিক ভাইকে দেখাতে হবে...
---
-----
রিকশায় বসে থেকে রফিক ভাইকে ডেকে বললাম,
-- ভার্সিটিতে যাবেন বুঝি? আসেন আপনাকে ভার্সিটি নামিয়ে দেই। তা আপনার বাবার কালো মুড়ির টিনটা হাসপাতালে ভর্তি নাকি?
রিকশায় বসে বর্ষা রাগে লাল হয়ে বললো,
- আরেক বার রফিক ভাই বলে ডাকলে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিবো। আর শুনো আর যদি কখনো আমাদের গাড়িটাকে মুড়ির টিন বলেছো তাহলে তোমার খবর আছে। আমার বাবা চাইলে এই মুহুর্তে তিনটা গাড়ি কিনতে পারে কিন্তু এই গাড়িটা দাদার স্মৃতি বলে বাবা গাড়িটা পাল্টায় না
আমি মুচকি হেসে বললাম,
-- কচু কিনবে নতুন গাড়ি। কিপটা বলে কথা
বর্ষা আরো রেগে গিয়ে বললো,
 
- একদম আমার বাবাকে কিপটা বলবে না। তুমি কি? তুমি একনাম্বারের মিথ্যাবাদী। প্রতিদিন সকালে নিজের মাকে উল্টো পাল্টা খবর শুনাও। আর ৪ বছর ধরে প্রেম করো অথচ এখনো মায়ের ভয়ে নিজের প্রমিকার নাম রফিক ভাই লিখে সেইভ করে রাখো
বর্ষার র কথা শুনে আমি মন খারাপ করে বললাম,
-- একেই বলে, যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর..
বর্ষ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললো,
- কালকের খবরের কাগজে কি লিখা থাকবে?
আমি ওর হাতটা শক্ত করে ধরে বললাম,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংলিশে অনার্স করছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর জন্য সুযোগ্য পাত্র চাই ।
 
(সমাপ্ত)
========== =========== ========== ============ ============ =========== 
ঠোটে হালকা লিপস্টিক লাগিয়ে রুপার বাবার সামনে বসে আছি। লিপস্টিক দেওয়ার কারন-আমার ঠোট ভয়াবহ রকমের কালো। অতিরক্ত পরিমানে সিগারেট খাওয়ার কারনে আমার ঠোটের এই দশা । তবে লিপস্টিক দেওয়ার আইডিয়াটা রুপাই আমাকে দিয়েছে। কেননা রুপার বাবা সিগারেট খাওয়া ছেলেদের একদম পছন্দ করে না। তিনি নাকি ঠোট দেখে বলে দিতে পারেন-কোন ছেলে সিগারেট খায় আর কোন ছেলে খায় না। এমতাবস্থায় রুপার বাবা আমাকে বললেন, 
 
-কি যেন,তোমার নাম ?
- জ্বী আংকেল, সানি।
-তা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে ?
-না আংকেল। (মিথ্যা না বললে রপা আর আমার দেড় বছরের প্রেম নির্ঘাত জলে ডুবে যাবে )
-গুড,ভেরিগুড। এইসব না খাওয়াই ভাল।
-জ্বী আংকেল আমি মরে গেলেও সিগারেট খাব না।
-আলহামদুলিল্লাহ, তাহলে আমার আর কোন আপত্তি নেই।
 
রুপার বুদ্ধির জন্যই তার বাবাকে বোকা বানাইতে সক্ষম হয়েছি। আমার আজ খুব খুশি-খুশি লাগছে । বিয়ের চিন্তায় এত দিন অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। এমতাবস্থায় রুপাকে মেসেজ দিয়ে বললাম,
-বেবি, আমার তো আর ধৈর্য সইছেই না।
-ওয়েট করো বাবুই। আর তো মাত্র দুইটা মাস ।
-না তুমি এখনই আসো,আজই লিটনের ফ্লাটে যাব।
-সানি,দুইটা মাসেই তো। আর একটু সবুর করো তাহলে আর লিটনের ফ্লাটে যাইতে হবে না।
-না আমি আজকেই লিটনের ফ্লাটে যাব।
-পাগলামী কইরো না,তাহলে তোমার বারোটা বাজায় ছাড়বো ।
-কি করবা তুমি ?
-বাবাকে বলে দিব-তুমি সিগারেট খাও।
-এই না,না, না। আমি বিয়ের আগে আর কোনদিনও লিটনের ফ্লাটে যেতে চাইব না।
-এই তো লাইনে আইছো। এখন রাখি সোনা,ঘুম পাচ্ছে।
-আচ্ছা যাও ঘুমাও।
 
আর মাত্র ১৩ দিন পর আমার বিয়ে। কোন কিছুই ভাল লাগছে না। বিয়ের জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে । সেই অস্থিরতার ঠেলায় রাত ১০ টার দিকে রুপার বাড়ির দিকে গেলাম। এমতাবস্থায় আমার সিগারেটের তৃষ্ণা পায়। আমি পকেট থেকে সিগারেট বের করে আবিষ্কার করলাম-ম্যাচটা বাসায় রেখে এসেছি । তাই রুপার বাড়ির রাস্তার সাইডে আধো অন্ধকারের মাঝে এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম,
চাচা মিয়া ম্যাচ হবে, বিড়িটা লাগাইতে পারছি না। 
 
ভদ্রলোক ম্যাচ না দিয়ে আমার মুখে লাইট ধরে বললেন,
হারামীর বাচ্চা তুই নাকি বিড়ি সিগারেট কিচ্ছুই খাইস না। দাড়া আজ তোরে মজা দেখাইছি।
আমি শ্বশুরের দৌড়ানিতে কোন রকম এলাকা ছাড়লাম। সেই সাথে রুপাকেও আজীবনের জন্য হারাইলাম।
==== =========== ============ ============== ===========
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের বন্ধু রাব্বি সবার কানে কানে বলত, "আমাকে দুই টাকা দিলে আমি আমার নুনু দেখাব, প্রমিজ।" ক্লাসের অনেকেই দুই টাকা দিয়ে রাব্বির নুনু দেখেছে। দুষ্ট প্রকৃতির কতিপয় বালক অবশ্য জিনিস দেখার পর পঞ্চাশ পয়সা দিয়ে বলত, এখন আর নাই দোস্ত, পরে দিবনে। আবার অনেকে হয়তো কোন টাকাই দেয়নি। বঞ্চিত রাব্বি একবুক কষ্ট নিয়ে আড়ালে চোখের জল ফেলেছে তখন। গুরুজনরা তো আর সাধে বলে না, "বাকির কাম ফাঁকি।"
 
এই নুনু দেখানোর ঘটনা বালকদের মুখে মুখে আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল কয়েক সপ্তাহের মাঝে। এমনকি শেষপর্যন্ত ঘটনা ক্লাসটিচারের কান পর্যন্ত চলে যায়। স্কুলে রাব্বির বাবাকে ডেকে এই ব্যাপারে নালিশ জানিয়েছিলেন আমাদের তৎকালীন হেডমাস্টার। যদ্দূর জানি, রাব্বির বাবা ওকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে প্রচণ্ড মেরেছিলেন। উক্ত ঘটনার জের ধরে রাব্বিকে স্কুল পর্যন্ত বদলে ফেলতে হয়।
 
রাব্বির সাথে ক্লাস ওয়ান, টু - দুইবছর ভালো বন্ধুত্ব ছিল আমার। ক্লাস থ্রিতে বিচ্ছেদের পর পুরোপুরিই ওর কথা ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে প্রায় চব্বিশ বছর পর হঠাৎ আরেক বন্ধুর কল্যাণে ওর ফেসবুকে আইডি খুঁজে পাই। রিকোয়েস্ট পাঠানোর দশ মিনিটের মাথায় এক্সেপ্ট করে ফেলে ও। তারপর বেশ খানিকক্ষণ চ্যাট করে কনফার্ম হয়ে যাই আমরা দুজনেই। হাজার হোক, শৈশবের বন্ধুত্বের একটা আলাদা মাহাত্ম্য তো আছেই! 
 
প্রফাইল স্টক করে দেখলাম, আমাদের সেই নুনুপ্রদর্শক রাব্বি বর্তমানে স্কটল্যান্ডে সেটেলড। প্রাসাদতুল্য বাড়িতে অতিমাত্রায় উত্তপ্ত এক স্লোভাকিয়ান রেডহেড আপ্পির সাথে লিভ টুগেদার করে ও।
কিছুক্ষণ আগে ম্যাসেঞ্জারে রাব্বির সাথে ভিডিও কলে গল্প হলো ঘণ্টাখানেক। জানলাম, স্কটল্যান্ডের সেই বিলাসবহুল বাড়িটা ওর গার্লফ্রেন্ডের। কিছুদিন আগে রাব্বির জন্মদিনে মেয়েটা ওকে একটা ল্যাম্বোরগিনি গিফট করেছে।
 
সব শুনে চোদনা হয়ে গেলাম আমি। এক পর্যায়ে লজ্জার মাথা খেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "বন্ধু, এইরকম স্লোভাকিয়ান চিক্সরে তুই লদকালদকির জন্য ম্যানেজ করলি ক্যাম্নে?
রাব্বি হাসল। তারপর ফিসফিস করে বলল, "তেমন কিছু না। এখানে এসে প্রথম পরিচয়ের পর জাস্ট বলছিলাম, দুই ইউরো দিলে আমার নুনু দেখাব।"
উপদেশ: যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ের। হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ের।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url